সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের পিএস সাখাওয়াত মোল্লাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অপরজন হলেন আ. হেকিম রায়হান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার মামলায় গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে র্যাব-১৪ ও র্যাব-১ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
আজ রোববার র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মুনীম ফেরদৌস জানান, ১৯ জুলাই দুপুর দুইটার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানাধীন লক্ষ্মীপুর এলাকায় ও বিকেল চারটার দিকে একই থানাধীন কমলপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণমিছিল বের হয়। ওই গণমিছিলে কতিপয় দুষ্কৃতকারী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় মামুন মিয়া, রুবেল মিয়া ও আলম সরকার বাদী হয়ে ভৈরব থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেন। মামলার পর আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে যান। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব-১৪ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঘটনায় জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করে।র্যাব কর্মকর্তা মুনীম আরও জানান, এরই ধারাবাহিকতায় পলাতক থাকা এজাহারনামীয় আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১৪। পরে র্যাব-১ এর সহায়তায় র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের একটি যৌথ অভিযানিক দল গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে ধানমণ্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের পিএস সাখাওয়াত মোল্লা ও মামলার আরেক এজাহারনামীয় আসামি আ. হেকিম রায়হানকে গ্রেপ্তার করে। মামলার ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।